রবীন্দ্রনাথের স্বকন্ঠে ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত

জাতীয় সঙ্গীত "জন গণ মন" 🎶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনবদ্য সৃষ্টির এক অনন্য নিদর্শন ✨। এটি মূলত বাংলায় রচিত হয়েছিল এবং পরে আবিদ আলি এটি হিন্দি ও উর্দুতে অনুবাদ করেন। ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে এটি প্রথমবারের মতো বাংলা ও হিন্দি ভাষায় পরিবেশিত হয় 🇮🇳।

জাতীয় সঙ্গীতটির ইংরেজি সংস্করণ, "দ্য মর্নিং সং অফ ইন্ডিয়া" 🌄, রবীন্দ্রনাথ ১৯১৯ সালে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন। ব্রিটিশ সুরকার হারবার্ট মুরিল এটি অর্কেস্ট্রার সাথে পরিবেশন করেন 🎼।

ভারত স্বাধীনতা লাভের দিন, ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে 🎉, প্রথমবারের মতো সংবিধান সভার অধিবেশন "জন গণ মন" দিয়ে সমাপ্ত হয়। ১৯৪৭ সালে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদল "জন গণ মন"-এর একটি রেকর্ডিং উপস্থাপন করেন 🌍। তবে এটি জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা পায় ১৯৫০ সালে। ২৪ জানুয়ারি ১৯৫০-এ ভারতের সংবিধান স্বাক্ষরের সময় ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ এটি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করেন 📜।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য ও সংগীতের উত্তরাধিকার অমর 🌟। "জন গণ মন"-এর পাশাপাশি তার লেখা বাংলা কবিতা "আমার সোনার বাংলা" বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত 🇧🇩। তিনি উনবিংশ ও বিংশ শতকের সন্ধিক্ষণে বাংলা সাহিত্য ও সংগীতে আধুনিকতার প্রেক্ষাপট গড়ে তুলেছিলেন 🖋️। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলির জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন 🏆। রবীন্দ্র সঙ্গীত বাঙালি সংস্কৃতির এক অমূল্য ঐতিহ্য 🎵। রবীন্দ্রনাথের নিজের কণ্ঠে ধারণকৃত এই বিরল সংগ্রহ তার সৃষ্টিশীলতার এক অনন্য সাক্ষ্য 🕊️।

আপনার উৎসাহ আমার পাথেয় হতে পারে, ইমেলে যুক্ত থাকুন 👇🏻