দ্য এফ-ওয়ার্ড - জেসি শেইডলোওভার
এ ধরনের ‘অশ্লীল’ শব্দকে সাধারণত ‘খারাপ’ বলে দাগানো হয়, এবং আমাদের শেখানো হয় সেগুলো এড়িয়ে চলতে। কিন্তু কোথায় কী মানানসই, তা আসলে প্রেক্ষাপটের ওপরই নির্ভরশীল
সমগ্র ইংরেজি ভাষায় এমন শব্দ খুবই বিরল, যেটি তার ইতিহাস ও বহুমুখী ব্যবহারের কারণে শতাধিক পৃষ্ঠার একটি নিবেদিত অভিধান দাবি করতে পারে, যার বিভিন্ন সংস্করণও রয়েছে। এর মধ্যে ‘ফাক’ শব্দটি বিশেষভাবে কুখ্যাত, জনপ্রিয় এবং আবেগপূর্ণ, আর এই বইতে শব্দটির প্রতি নিবেদিত মনোযোগও দারুণভাবে আকর্ষণীয়। অনেকের জীবনেই ‘ফাক’ শব্দটির সঙ্গে কিছু স্মৃতি বা অভিজ্ঞতা জড়িয়ে থাকতে পারে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই শব্দটি কিভাবে তার তীব্র আকর্ষণ ও অসাধারণ শক্তি ধরে রেখেছে?
এই প্রশ্নের সরল উত্তর দেওয়া কঠিন; এতে বহু কারণ একত্রে কাজ করে। যৌনতা নিঃসন্দেহে এখানে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। যদিও আধুনিক ইংরেজিতে ‘ফাক’ শব্দের বেশিরভাগ ব্যবহার অযৌন, তবু শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে শব্দটি তার যৌনতা-সংক্রান্ত অর্থ ও ইঙ্গিত বহন করেছে। যৌনতা এমন একটি বিষয় যা সবসময় আমাদের চেতনায় ঘুরপাক খায়। তবে এর বাইরে, শব্দটি বিভিন্ন অর্থ ও ব্যবহারিক প্রসঙ্গে স্থান পেয়েছে, ফলে এর আলাদা শক্তি ও আকর্ষণের কারণগুলোও ততটাই বৈচিত্র্যময় ও জটিল।
‘ফাক’ এমন এক অনন্য শব্দ, যা বিভিন্ন ধরনের বক্তব্যে সহজেই মিশে যেতে পারে। এই অভিধানে যেমন ব্যাখ্যা করা হয়েছে—যৌন বা অযৌন, ইতিবাচক বা নেতিবাচক, আক্ষরিক বা রূপক, হাস্যরসাত্মক বা হিংস্র—সব ধরনের ব্যবহারেই মানানসই। যে কোনো পরিস্থিতিতে এর কোনও না কোনও অর্থ ঠিক জায়গা করে নেয়।
এই শব্দটি উচ্চারণেই যেন এক অদ্ভুত আনন্দ আছে। মুখে বলার সময় এক ধরনের উচ্ছ্বাস আসে; মনের গভীরে সাড়া জাগায়, যেন প্রবল কোনো আবেগের তৃপ্তি লাভ হয় বা নিজস্ব প্রকাশের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়। এটি আমাদের বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে, মনোযোগ আকর্ষণ করতে, শ্রোতাদের প্রভাবিত করতে, এবং কখনো কখনো ঘনিষ্ঠতার মাত্রা যাচাই করতেও সাহায্য করে।
মনোবিজ্ঞানীরা বলেই ফেলেছেন যে কিছু ধরনের গালাগালি শরীরের শক্তি ও ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা বাড়াতে পারে। (তবে যদি সারাদিন এভাবেই গালাগাল চলে, তাহলে সেই ব্যথা-নিরোধক প্রভাবও কমে আসে।)
এ ধরনের ‘অশ্লীল’ শব্দকে সাধারণত ‘খারাপ’ বলে দাগানো হয়, এবং আমাদের শেখানো হয় সেগুলো এড়িয়ে চলতে। কিন্তু কোথায় কী মানানসই, তা আসলে প্রেক্ষাপটের ওপরই নির্ভরশীল—আর মাঝে মাঝে আমরা ইচ্ছে করেই কিছুটা ‘অনুচিত’ হতে চাই। এই শব্দ আমাদের সংস্কৃতি, শব্দভাণ্ডার এবং ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, আর তাই এর সম্পর্কে আরও জানাটাই সার্থক।
উৎপত্তি:
‘ফাক’ শব্দটি জার্মানিক উৎসের, যা ডাচ, জার্মান, নরওয়েজিয়ান এবং সুইডিশ ভাষার কিছু শব্দের সঙ্গে সম্পর্কিত, যেখানে যৌন ইঙ্গিতের পাশাপাশি “ঘা মারা” বা “পিছু হটা”র মত অর্থও রয়েছে। ইংরেজিতে এই শব্দটির প্রাচীনতম উদাহরণ দেখা গেলেও, তার মানে এই নয় যে অন্যান্য ভাষাগুলো এটি ইংরেজি থেকে ধার করেছে; বরং এসব শব্দের আদি সম্পর্ক একই সূত্রে বাঁধা।
এই শব্দগুলো মূলত একটি নির্দিষ্ট ধাঁচে থাকে—‘f’ দিয়ে শুরু, মাঝখানে ছোট স্বরবর্ণ, তারপর হঠাৎ থেমে যাওয়া কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি (যেমন k, d, g, অথবা t)—যা মাঝামাঝি কোথাও l বা r থাকে। এই ধরনের শব্দগুলোর সাধারণ অর্থ হলো “পিছু হটা,” আর প্রায়ই রূপক অর্থে “প্রতারণা করা” বোঝানো হয়। ইংরেজি ভাষায় এর কিছু উদাহরণ—যেমন fiddle, fidget, flit, flip, flicker, এবং frig—যেগুলো ‘ফাক’-এর পর এসেছে।
এছাড়াও, ‘ফাক’-এর সঙ্গে অন্য ভাষার কিছু শব্দের সাদৃশ্য থাকলেও, তা মূলত সঠিক নয়। যেমন, ল্যাটিনের futuere এবং এর ফরাসি ধারাবাহিক foutre, যা মোটামুটি একই ধরনের ইঙ্গিত দেয়, কিন্তু ‘ফাক’-এর সঙ্গে এদের কোনো সম্পর্ক নেই। কখনো কখনো কিছু বিশেষজ্ঞরা একটি প্রস্তাবিত ইন্দো-ইউরোপীয় মূল শব্দের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাষার শব্দগুলিকে ‘ফাক’-এর সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে চেয়েছেন—যার অর্থ হতে পারে “ঘা মারা”—তবে এই তত্ত্ব এখনো নিশ্চিত নয়।
‘ফাক’ কোনো “অ্যাংলো-স্যাক্সন” শব্দও নয়—এই পরিভাষা মূলত ইংরেজি ভাষার প্রাচীনতম পর্যায়কে বোঝায় (যা বর্তমানে পণ্ডিতদের মতে প্রাচীন ইংরেজি, প্রায় ১১০০ খ্রিস্টাব্দের আগে), এবং এতো পুরনো কোনো নজিরে ‘ফাক’ পাওয়া যায় না।
মধ্য ইংরেজিতে কিছু শব্দকে ‘ফাক’-এর প্রাথমিক উদাহরণ হিসেবে দাবি করা হয়েছে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলো সন্দেহজনক। উদাহরণস্বরূপ, কার্ল ডার্লিং বাক তাঁর ১৯৪৯ সালের অভিধানে “জন লে ফাকার” (John le Fucker) নামে ১২৭৮ সালের একটি নাম উল্লেখ করেন, যদিও এর উৎস নিশ্চিত করা যায়নি এবং এর আর কোনো উল্লেখও কেউ পায়নি। তদুপরি, উৎস সঠিক হলেও, শব্দটি আসলে ‘ফুলচার’ (fulcher)(যোদ্ধা) বা ‘টাকার’ (Tucker) নামটির ভুল পাঠ হতে পারে।
তবে, যদি পাখির নাম ‘উইন্ডফাকার’ (windfucker) (বা ‘ফাকউইন্ড’ (fuckwind)) শব্দটির সাথে কোনো যোগসূত্র থাকে, তবে ১২৮৭ সালে শেরউড ফরেস্টের নথিতে পাওয়া ‘রিক উইন্ডফাক’ (Ric Wyndfuk) এবং ‘রিক উইন্ডফাক ডি উডহাউস’ (Ric Wyndfuck de Wodehous) নামের উল্লেখও বৈচিত্র্যময় ব্যবহার নির্দেশ করতে পারে। তেমনি, ১২৮৭ সালের আরেকটি পদবি ‘ফাকেবেগার’(Fuckebegger) ব্যবহারও হয়তো ‘ঘা মারা’ অর্থে ব্যবহার হতে পারে—যেমন এংলো-নরমান পদবি ‘বুটেভিলেইন’ (Butevilein), যার অর্থ “চূড়ান্ত আঘাত”।
দুই সাম্প্রতিক আবিষ্কার এই শব্দটির ইতিহাসে নতুন আলোকপাত করেছে। ইতিহাসবিদ পল বুথ চেশায়ারের ১৩১০ এবং ১৩১১ সালের আদালতের নথিতে একজন ‘রজার ফাকেবিদেনাভেল’ (Roger Fuckebythenavele) নামক ব্যক্তির উল্লেখ পেয়েছেন, যাকে এক গুরুতর (কিন্তু অনির্দিষ্ট) অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
যখন কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করেছিল, তার নাম বেশ কয়েক মাস ধরে নথিতে একাধিকবার ফিরে আসে—এটা বোঝায় যে এটি কোনো ঠাট্টা নয়, বরং সত্যিকারের একজনের নাম। সম্ভাব্য অর্থ যৌনই ধরে নেওয়া হয়, হয়তো রজার মনে করতেন মিলনের স্থান নাভির কাছাকাছি হওয়া উচিত, বা হয়তো সেই কাজ করার চেষ্টাও করেছিলেন।
এরপর ১৩৭৩ সালে ব্রিস্টলের একটি দলিলে অদ্ভুত একটি নামের সন্ধান মেলে: ‘ফকিংগ্রোভ’ বা “ফাকিং গ্রোভ (Fockynggroue)।” অন্য ব্যাখ্যা থাকতে পারে, তবে “মিলনের জঙ্গল” ধারণাটিই সবচেয়ে সম্ভাব্য এবং অন্যান্য উদাহরণ থেকেও এই অনুমান সমর্থিত।
‘ফাক’ শব্দটির প্রাচীন উদাহরণ খুবই অল্প, আর এর একাধিক ব্যাখ্যাও হতে পারে। হয়তো শব্দটি তেমন পুরনো নয়, চতুর্দশ বা পঞ্চদশ শতাব্দীতে এটি নতুন করে গড়ে উঠেছিল। সেই সময় যৌন সম্পর্ক বোঝাতে মূলত ‘সুইভ’ (swive) ব্যবহৃত হতো, যা অশ্লীল মনে করা হতো, এবং ‘ফাক’ সম্ভবত ‘সুইভ’এর জায়গায় এসেছে।
তবে, সবচেয়ে সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হলো যে মধ্যযুগে শব্দটির উপর এতটাই ট্যাবু ছিল যে, সেটি খুব কমই লিখে রাখা হতো। ইংরেজিতে শব্দটির প্রথম পরিচিত ব্যবহার, প্রায় ১৪৭৫ সালে, সাইফার দিয়ে ঢাকা থাকাটা এই ধারণাকে শক্তিশালী করে।
প্রথম দিকের বেশ কয়েকটি উদাহরণ স্কটিশ সূত্র থেকে পাওয়া, ফলে কিছু পণ্ডিত মনে করেন এটি সম্ভবত নর্স (Norse) ভাষা থেকে ধার করা, যা ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল এবং স্কটিশ ইংরেজিতে বেশ প্রভাব ফেলেছিল। তবে চতুর্দশ শতাব্দীর উদাহরণগুলো, ১৪৭৫ সালের সাইফার-যুক্ত ব্যবহার এবং ১৫২৮ সালে “ও ড্যামড ফাকিং অ্যাবট” (O d [probably damned] fuckin Abbot) শিরোনামের উল্লেখ ইংল্যান্ডেই পাওয়া যায়, যা প্রমাণ করে শব্দটি কেবল স্কটল্যান্ডেই সীমাবদ্ধ ছিল না। স্কটল্যান্ডে শব্দটির প্রাথমিক উদাহরণ বেশি পাওয়া যাওয়ার কারণ হতে পারে, সেখানকার ট্যাবু তুলনামূলকভাবে দুর্বল ছিল।
(১৫২৮ সালের উদ্ধৃতিটি, যা পাণ্ডুলিপির কোনায় লেখা ছিল—যেখানে সাধারণত রসিকতাপূর্ণ কথাবার্তা লেখা হতো—প্রায়ই প্রথম ‘ফাক’ শব্দের ব্যবহার হিসেবে এই জনপ্রিয় ধারনার উল্লেখ করা হয়, যদিও পূর্বের আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে।)
কিছু বিশেষ শব্দ বা ভাষার উপর ট্যাবু মোটেই নতুন কিছু নয়। ইংল্যান্ডে আদিকাল থেকেই নির্দিষ্ট ধরনের ভাষাকে সীমাবদ্ধ রাখার প্রমাণ রয়েছে। সপ্তম শতাব্দীর এক আইনে কেন্টের নিয়ম অনুযায়ী: “যদি কেউ অন্যের বাড়িতে গিয়ে অপমানজনক ভাষায় আক্রমণ করে, তবে তাকে সেই বাড়ির মালিককে এক শিলিং জরিমানা দিতে হবে।”
গুজব
‘ফাক’ শব্দটি সংক্ষিপ্ত রূপ বা সংক্ষেপণ হিসেবে উৎপন্ন হয়নি, যা অনেকেই ভুলভাবে বিশ্বাস করেন। সংক্ষেপণের ব্যবহার ১৯৩০-এর দশকের আগে খুবই বিরল ছিল, আর এই ধরনের ব্যাখ্যা, বিশেষ করে প্রাচীন শব্দগুলোর ক্ষেত্রে, প্রায়ই গুজব। (যেমন, posh শব্দটির উৎস “Port Outward, Starboard Home” নয়, cop মানে “Constable On Patrol” নয়, এবং tip মানে “To Insure Promptness” নয়।)
‘ফাক’ শব্দটির জন্য সংক্ষেপণভিত্তিক ব্যাখ্যার প্রাথমিক উদাহরণ সম্ভবত ১৯৬৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, নিউ ইয়র্কের আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা The East Village Other-এ প্রকাশিত হয়েছিল:
“সাধারণত জানা যায় না যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যিক সেনাবাহিনীর সৈন্যদের নথিতে চিকিৎসাগত শর্ত হিসেবে F.U.C.K. শব্দটি ব্যবহৃত হতো। যখন কোনো সৈনিক যৌন রোগে আক্রান্ত হতো, তখন তার নথিতে এটি ‘Found Under Carnal Knowledge’ অর্থে সিল মারা হতো।”
এর কাছাকাছি আরেকটি কল্পকাহিনী হলো, “For Unlawful Carnal Knowledge,” যা নাকি ব্যভিচারী, ধর্ষক, বা পতিতাদের চিহ্নিত করতে প্রাচীন যুগে ব্যবহার হতো। অন্যান্য কাল্পনিক ব্যাখ্যা ছিল “Found in Unlawful Carnal Knowledge” (ব্যভিচারীদের জন্য) এবং “Forced Unsolicited Carnal Knowledge” (ধর্ষকদের জন্য)।
১৯৬৫ সালে “For Unlawful Carnal Knowledge” নামে একটি নাটক প্রকাশিত হওয়ার পর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বার্কলে এটিকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু নাটকটি কখনোই এই কথাটি ‘ফাক’-এর আসল উৎস হিসেবে দাবি করেনি।
অন্য একটি প্রচলিত মিথ হলো “Fornication Under Consent of the King,” যেখানে বলা হয়েছিল কোনো ধরনের রাজকীয় অনুমতি হিসেবে, বিশেষ করে প্লেগের পর দেশে জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য। প্রথমে ১৯৭০ সালের Playboy পত্রিকায় এটি উল্লেখ করা হয়েছিল:
“আমার এক বন্ধু দাবি করে যে শব্দটি পঞ্চদশ শতকে তৈরি হয়, যখন বিবাহিত দম্পতিদের প্রজননের জন্য রাজার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হতো। তাই, Fornication Under Consent of the King। আমি মনে করি এটি ষোড়শ শতকের আইনি সংক্ষিপ্ত রূপ, যা ধর্ষণের ক্ষেত্রে Forced Unnatural Carnal Knowledge হিসেবে ব্যবহৃত হতো।”
এই ধরনের সংক্ষেপণমূলক উৎসের ব্যাখ্যাগুলো সবসময়ই অস্বাভাবিক শোনায়, যেন এটা প্রকৃত কোনো সাধারণ বাক্যাংশ নয়। তবে “For unlawful carnal knowledge” একটি বিরক্তিকর আইনি শব্দবন্ধ মনে হয়।
প্রকৃতপক্ষে, “unlawful carnal knowledge” আইনগত উৎসে বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়েছে। ইংরেজ কমন ল’তে ধর্ষণের সংজ্ঞায় এই শব্দটি ব্যবহৃত হতো, ১৮৮৫ সালের ব্রিটেনের ফৌজদারি সংশোধনী আইনে উল্লেখ আছে, এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের বর্তমান আইনেও আছে।
এর আগেও ১৮৭০ এবং ১৮৮০-এর দশকে আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলে এই সংজ্ঞা দেখা যায়—আর্কানসাস, টেনেসি, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, এবং টেক্সাসের আইনে। পুরো বাক্যাংশটি (সাথে “for” সহ) প্রথমে ১৮৮০-এর দশকের শেষের দিকে আমেরিকার আইনে পাওয়া যায়।
এ সবকিছুর পরও প্রমাণ হয় না যে ‘ফাক’ শব্দটির উৎস এই সংক্ষেপণ বা অন্য কোনো সংক্ষেপণ থেকে এসেছে; কারণ তা আসেনি।
ফোক-এটিমোলজির একেবারে হাস্যকর উদাহরণ হলো “pluck yew” গল্পটি, যা ‘ফাক’ শব্দের উৎসকে প্রাচীন লোককথার সঙ্গে মিশিয়ে দেয়—যেমনটি ইংল্যান্ডে দু’আঙুলের পেছনের দিকে ইঙ্গিত বা আমেরিকায় মাঝের আঙুলের প্রসারিত ইঙ্গিত। এই গল্পের মূল কাহিনি অনুযায়ী, ১৪১৫ সালে আজিঙ্কুর যুদ্ধের আগে, ফরাসিরা ইংরেজ তীরন্দাজদের দিকে দুই আঙুল নাড়িয়ে বিদ্রূপ করেছিল, বলেছিল এই আঙুলদুটি দিয়ে তারা শক্তিশালী ফরাসিদের কখনো হারাতে পারবে না।
কিন্তু যুদ্ধের শেষে ইংরেজ তীরন্দাজরা তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে এবং তখন তারা বিজয়সূচক ভঙ্গিতে ফরাসিদের দিকে ওই দুই আঙুল দেখিয়ে উল্লাস করে। এখান থেকেই এই জনপ্রিয় ইঙ্গিতটির জন্ম বলে দাবি করা হয়। কিন্তু আধুনিক কাহিনিতে—দাবি করা হয়েছে, তীরের ধনুক বাঁকানোকে বলা হতো “pluck yew,” এবং বিজয়ী ইংরেজরা শুধু আঙুলই না নাড়িয়ে ফরাসিদের উদ্দেশ্যে “We can still pluck yew! Pluck yew!” বলে চিৎকার করেছিল।
একটি সুবিধাজনক শব্দবদল এবং বানান পরিবর্তনের মাধ্যমে এই কাহিনি আমাদের পরিচিত “fuck you” বাক্যে পৌঁছায়। এই গল্পটি সম্পূর্ণ উদ্ভট হওয়া সত্ত্বেও, এনপিআরের শো Car Talk-এ রসিকতার ছলে উল্লেখ করার পর এটি জনপ্রিয়তা পায়, এবং ১৯৯০-এর দশকে ইন্টারনেটে ‘জনপ্রিয়’ ব্যাখ্যা হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে।
ফাকের ট্যাবু মর্যাদা
প্রথমদিকের আধুনিক ইংরেজি ভাষা
ঐতিহাসিকভাবে রসালো রসিকতার চাহিদা এমন ছিল যে, লেখকেরা সর্বদা এমন কিছু শব্দ ব্যবহারের উপায় বের করেছেন, যা সামাজিক নিয়মাবলীতে নিষিদ্ধ ছিল। উদাহরণস্বরূপ, শেকসপিয়ারের লেখায় ‘cunt’ শব্দের স্পষ্ট দুটি উল্লেখ পাওয়া যায়।
Twelfth Night-এ (II.v), ওলিভিয়ার বাটলার ম্যালভোলিও এক চিঠি পায়, যা মারিয়া লিখেছে কিন্তু ওলিভিয়ার হাতের লেখার মতো। লেখাটি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ম্যালভোলিও বলে, “আমার জীবনের শপথ, এ আমার প্রভুর হাতের লেখা। এখানে আছে তার C’s, তার U’s এবং তার T’s এবং এতে সে তার বড় P’s বানিয়েছে।” N শব্দটি শুনলে ‘cunt’ স্পষ্ট হয়ে ওঠে, সাথে মজার ছলে ‘pee’ সম্পর্কেও ইঙ্গিত দিয়েছেন শেকসপিয়ার।
এবং আরও বিখ্যাতভাবে, Hamlet (III.ii)-এ, হ্যামলেট “country matters” বাক্যাংশ ব্যবহার করেন, যা স্পষ্টতই ‘cunt’-এর প্রতি ইঙ্গিত বহন করে (হ্যামলেট পরবর্তী মন্তব্যে বলেন, “maids’ legs”-এর মধ্যে কী থাকে)।
যদিও শেকসপিয়ার নিজে কখনো সরাসরি ‘fuck’ ব্যবহার করেননি, তার নাটকগুলোতে এই শব্দটির প্রতি কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ কৌতুক বা প্রসঙ্গ দেখা যায়। The Merry Wives of Windsor-এ (IV.i) একটি ল্যাটিন ভাষার পাঠে তিনি “focative” কেস উল্লেখ করেন, যা ‘vocative’ কেসের সঙ্গে একটি কৌতুক, সঙ্গে সঙ্গে অশ্লীল শব্দের খেলা এবং যৌনাঙ্গের বিভিন্ন ইংরেজি শব্দের প্রতি ইঙ্গিতও জুড়ে দেন।
Henry V-এ (IV.iv), কুখ্যাত রসিক চরিত্র পিস্তল একজন শত্রু সৈনিককে “firk” করবে বলে হুমকি দেয়; যদিও ‘firk’-এর আক্ষরিক অর্থ ‘ঘা মারা’, যা এখানে উপযুক্ত, এলিজাবেথীয় যুগে এটি ‘fuck’-এর বিকল্প শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, এবং শেকসপিয়ার এটি মাথায় রেখেছিলেন বলেই ধরে নেওয়া হয়। বেশ কয়েক স্থানে তিনি ফরাসি শব্দ ‘foutre’ ব্যবহার করেছেন, যা আক্ষরিক অর্থে এবং অশ্লীলভাবে ‘fuck’ শব্দের সমান; সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ Henry V-এর (III.iv) একটি অংশে পাওয়া যায়, যেখানে প্রিন্সেস ক্যাথরিন ইংরেজি শেখার পাঠ নিচ্ছেন।
ক্যাথরিন: Comment appellez-vous les pieds et la robe? [পা এবং পোশাককে কী বলে?]
অ্যালিস: De foot, ম্যাডাম; এবং de cown [যেখানে gown শব্দটির ফরাসি উচ্চারণ cown ইংরেজি শব্দের মতো শোনায় যা ফরাসি foutre (ফাক) এবং con (কান্ট)-এর মতো শোনায়।]
ক্যাথরিন: De foot এবং de cown? ওহ প্রভু! এরা বাজে শব্দ, মন্দ, অশ্লীল এবং নির্লজ্জ!
শেকসপিয়ার অন্যত্র (২ Henry IV V.iii)-এ পিস্তলের মুখে বলেন, “A foutra for the world and worldlings base!” এবং অন্তত একটি জায়গায় (Merry Wives II.i) তিনি foot শব্দটি সম্ভবত foutre শব্দের উপর কৌতুক হিসেবে ব্যবহার করেছেন। Henry V-এ এই অংশটিই দেখায়, শেকসপিয়ার এই শব্দটির অশ্লীলতার ব্যাপারে সচেতন ছিলেন—অন্তত ফরাসি ভাষায়—এবং এই উদাহরণগুলো সম্ভবত ইংরেজি ট্যাবু শব্দ ‘fuck’-কে নির্দেশ করে।
যদিও তথ্য থেকে জানা যায়, শেকসপিয়ারের সময়ে ‘fuck’ শব্দটি অশ্লীল বলে বিবেচিত ছিল, ঠিক কতটা খারাপ তা বলা কঠিন। তবে সপ্তদশ শতাব্দীর শেষে একটি অপ্রত্যাশিত উৎস থেকে এই শব্দটির মর্যাদা সম্পর্কে বিশ্বয়করভাবে জানা যায়: পর্নোগ্রাফি। ভিক্টোরিয়ান যুগের আগের ইংরেজি সাহিত্যে খোলামেলা যৌন রচনা কম থাকলেও, একটি ব্যতিক্রম হলো ১৬৮০ সালের The School of Venus, যা একটি পুরোনো ফরাসি অনুবাদ।
এই স্পষ্টচিত্রিত বইটি—যার একমাত্র কপি মিউনিখের বাভারিয়ান স্টেট লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত—একজন অভিজ্ঞ বৃদ্ধা এবং তার তরুণী ভাগ্নির মধ্যে কথোপকথনের রূপে সাজানো হয়েছে। এই ধরনের বিন্যাস (বিশেষত অষ্টাদশ শতকে প্রচলিত) অত্যন্ত স্পষ্ট আলোচনা শিক্ষার ছলে তুলে ধরতে সহায়ক। লেখক ভাষার প্রতি বিশেষ আগ্রহী ছিলেন বলে মনে হয়: এক পর্যায়ে চরিত্রগুলো occupy, fuck, swive, incunt এবং অন্যান্য ক্রিয়াগুলির অর্থের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করে, এবং অন্যত্র বৃদ্ধা ব্যাখ্যা করেন কেন পুরুষরা মিলনের সময় অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে।
আমরা এখান থেকে স্পষ্টত জানতে পারি ‘fuck’ কতটা আপত্তিকর ছিল:
“অন্যান্য শব্দ আছে, যা আরও মৃদু শোনায় এবং সমাজে ব্যবহারের উপযোগী, Swiving এবং Fucking এর বদলে, যা খুব স্থূল এবং সরাসরি রসালো, যা শুধু অপব্যয়ী ব্যক্তিদের মধ্যেই মানানসই; লোকেরা কেলেঙ্কারি এড়াতে বিনয়ী ভাষায় বলে, ‘আমি তাকে চুমু দিয়েছি,’ ‘তার যত্ন নিয়েছি,’ ‘তার থেকে একটি সম্মান পেয়েছি,’ বা এমন কিছু।”
আধুনিক ইংরেজি ভাষা
নিশ্চিতভাবেই উনিশ শতকের পুরোটা জুড়ে ‘fuck’ শব্দটি সাধারণ মুদ্রণে একেবারে নিষিদ্ধ ছিল, কেবল কিছু অজানা, গোপনীয়, আইনি, বা ব্যক্তিগতভাবে প্রকাশিত গ্রন্থে স্থান পেয়েছিল। প্রাথমিক যুগের বিশিষ্ট লেখকদের মধ্যে যাঁরা এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন তাদের মধ্যে আছেন সপ্তদশ শতকের লর্ড রোচেস্টার এবং অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে রবার্ট বার্নস। বার্নস সম্ভবত বিশ শতকের আগের শেষ বিশিষ্ট লেখক যিনি এটি ব্যবহার করেছিলেন, এবং তিনিও কেবল The Merry Muses of Caledonia নামের একটি ব্যক্তিগতভাবে প্রচলিত অশ্লীল পাণ্ডুলিপিতে ব্যবহার করেছিলেন।
এমনকি বার্নসের বন্ধু ক্যাপ্টেন ফ্রান্সিস গ্রোস তার Classical Dictionary of the Vulgar Tongue (১৭৮৫ এবং পরবর্তী সংস্করণ) বইয়ে শব্দটি f—k আকারে উল্লেখ করতে বাধ্য হন; ১৮১১ সালের সংস্করণ থেকে অন্য এক সম্পাদক একেবারেই মুছে দেন।
ভিক্টোরিয়ান যুগের কিছু মানুষ অশ্লীল শব্দভাণ্ডার সম্পর্কে কতটা অজ্ঞ ছিলেন, তার একটি মজার উদাহরণ হলো কবি রবার্ট ব্রাউনিংয়ের একটি ভুল বোঝাবুঝি। তিনি সপ্তদশ শতকের একটি কবিতার পঙ্ক্তি—“They talked of his having a cardinal’s hat, / They’d send him as soon an old nun’s twat”—পড়ে ধারণা করেছিলেন যে ‘twat’ শব্দটি সম্ভবত কোনো নানদের পোষাকের অংশ বোঝাচ্ছে। ফলে তিনি তার ১৮৪৮ সালের কবিতা Pippa Passes-এ “Cowls and twats” লিখে বসেন।
অবশ্যই এর মানে এই নয় যে ‘fuck’ শব্দটি ব্যবহৃতই হতো না। জন ফার্মার এবং ডব্লিউ. ই. হেনলির বিশাল Slang and Its Analogues (ব্যক্তিগতভাবে মুদ্রিত; ‘fuck’ সম্বলিত খণ্ডটি ১৮৯৩ সালে প্রকাশিত) শব্দটিকে বিশেষণ এবং ক্রিয়া বিশেষণ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যেখানে তা যথাক্রমে “একটি প্রচণ্ড অপমানসূচক বিশেষণ” এবং “bloody-এর চেয়ে আরও সহিংস রূপ” হিসেবে বর্ণিত হয়েছে।
অথচ, এই শব্দের পূর্ববর্তী উদাহরণ পাওয়া না গেলেও এটি “common” বা প্রচলিত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে, বিভিন্ন অর্থে শব্দটি প্রচলিত ছিল, কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে মুদ্রণে স্থান পায়নি।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আশেপাশে শব্দটির নতুন অর্থের বিস্তার দেখা গেলেও ধারণা করা হয় যে, এগুলি পূর্বেই ব্যবহৃত হচ্ছিল, আর ১৯১০-এর দশকে এর আবির্ভাব মূলত ট্যাবু শিথিল হওয়ার ফল। যদিও উনিশ শতকে শব্দটি মূলধারার ব্যবহারে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল, এটি ভিক্টোরিয়ান পর্নোগ্রাফির জগতে অত্যন্ত সাধারণ ছিল।
১৮৬০-এর দশক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরাসরি এফ-শব্দ এই ধরনের প্রকাশনাগুলোতে ব্যবহৃত হতো, যা অনেক ক্ষেত্রে আজকের হার্ডকোর পর্নোগ্রাফির মতোই প্রকাশ্য। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, উনিশ শতকে প্রচলিত বিভিন্ন রূপ বা অর্থ পরবর্তীতে উদ্ভাবিত ধারণা করা হলেও সেগুলো আসলে তখন থেকেই প্রচলিত ছিল।
দুটি উল্লেখযোগ্য ঘটনায়, এই কঠোর নীতির যুগেও শব্দটি লন্ডনের Times পত্রিকায় প্রবেশ করেছিল। অ্যাটর্নি জেনারেল স্যার উইলিয়াম হারকোর্টের বক্তৃতা প্রকাশের সময়, ১৩ জানুয়ারি ১৮৮২ সালে Times একটি বাক্য ছাপে:
“আমি একটি টোরি পত্রিকায় দেখেছিলাম একটি সতর্কবার্তা, যেখানে লেখা ছিল, ‘যদি ইয়র্কশায়ারের নর্থ রাইডিং-এর জন্য একজন টেন্যান্ট-ফার্মার নির্বাচিত হয়, তাহলে কৃষকেরা একটি রাজনৈতিক শক্তি হবে, যাদের গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।’ এরপর বক্তা বলেন, ‘he felt inclined for a bit of fucking।’ আমি মনে করি এটা যথেষ্ট সম্ভাব্য।”
এই চমকে দেওয়া বাক্যটির জন্য পত্রিকাটির সম্পাদকদের চার দিন পর ক্ষমা প্রকাশ করতে হয়েছিল, যা সম্ভবত টাইপসেটারের ভুল ছিল:
“আমাদের এই পত্রিকার পরিচালনায় প্রচেষ্টা করা হয়েছে, যাতে স্যার উইলিয়াম হারকোর্টের বক্তৃতায় সোমবারের সংখ্যায় যে অশ্লীল বাক্যটি যুক্ত হয়েছিল তার লেখককে খুঁজে বের করা যায়। এই দুষ্ট শব্দটি ইন্টারপোলেশন মুদ্রণে যাওয়ার আগে গোপনে প্রবেশ করানো হয়েছিল। বিষয়টি এখন আইনি তদন্তাধীন, এবং আশাকরা হচ্ছে যে অপরাধী শাস্তির সম্মুখীন হবে।”
এর কিছুদিন পর, ১২ জুন ১৮৮২ সালে Times-এ আরেকটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছিল: “Everyday Life in our Public Schools.শীর্ষ শিক্ষার্থীদের দ্বারা স্কেচকৃত। একটি শব্দকোষ সহ, যেখানে হেনরি আরভিং তার ‘fucking’ নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা ঐ বিদ্যালয়গুলোতে প্রচলিত।”
বর্তমান প্রেক্ষাপট
একবিংশ শতাব্দীর Times পত্রিকা এখনও যথাসম্ভব গালিগালাজ থেকে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করে, অন্তত নীতিগতভাবে। যখন প্রয়োজনে তা ছাপতে হয়, তখন তাদের ২০২২-এর স্টাইল গাইড অনুসারে লেখকরা তিনটি তারকাচিহ্ন দিয়ে শব্দটিকে মৃদু করতে হবে: “f***।” যদিও এই পদ্ধতিটি দেখতে ‘বেমানান’, তবু Times সম্পাদকদের মতে, এটি গালি ব্যবহার করার চেয়ে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বেশি প্রয়োজনীয়।
যুক্তরাজ্যের অন্যান্য "ব্রডশিট" বা "গুণগত" পত্রিকাগুলো অপেক্ষাকৃত সহজভাবেই fuck এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ শব্দ মুদ্রণ করে। অন্যদিকে, red tops—image-led ট্যাবলয়েডগুলো—যেগুলো চমকপ্রদ ছবি ও উত্তেজনাপূর্ণ ভাষায় ভরা—বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমনকি হালকা গালিও তারকাচিহ্ন দিয়ে ঢেকে দেয়। এর ফলে পাঠকদের মাঝে মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়— “b*******” কি bastards নাকি bollocks বোঝায়? তা স্পষ্ট নয়।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ভাষা উস্কানিমূলক বলে গণ্য হয়েছে। কয়েক শতাব্দী আগে ধর্মীয় শপথভঙ্গকে সবচেয়ে অমার্জনীয় ভাবা হতো (১৫২৮ সালের উদাহরণটি মনে করলে দেখা যায়, সেখানে damned শব্দটি বাদ দেয়া হয়েছে, fucking নয়)। অবৈধ বংশপরিচয় সম্পর্কিত গালি, যেমন bastard, তখনও গোপনে লেখা হতো।
পরবর্তীতে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং যৌন সম্পর্কিত শব্দগুলো সবচেয়ে আপত্তিকর হিসেবে বিবেচিত হয়। উনিশ শতকের আমেরিকায় এমনকি leg শব্দটিও অশালীন মনে করা হতো; তার পরিবর্তে limb শব্দটি ব্যবহার করাই শালীন বলে মানা হতো।
বর্তমানে জাতিগত ও সামাজিক গালিগুলো সবচেয়ে বিতর্কিত; যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং নিউজিল্যান্ডের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এগুলি সবচেয়ে আপত্তিকর বলে চিহ্নিত হয়েছে। ১৯৯৪ সালে এক বিশিষ্ট অধ্যাপিকা US News & World Report-কে বলেন যে, তিনি ক্লাসে fuck বললে কেউ আপত্তি করে না, কিন্তু জাতিগত কোনো গালি ব্যবহার করার সাহসও করতেন না।
এই প্রবণতা এখন আরও তীব্র হয়েছে: সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও N-word শব্দটির উল্লেখ নিষিদ্ধ, এবং শব্দের মিলের কারণে niggardly শব্দটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধের পথে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, গালিগুলি মনস্তাত্ত্বিক এবং সামাজিক ক্ষতি করতে পারে।
আজ F-word সম্পর্কিত ট্যাবু আগের তুলনায় দুর্বল হয়েছে। ব্রিটিশ সম্প্রচার নিয়ন্ত্রক Ofcom-এর নিয়মিত জনমত সমীক্ষা যুক্তরাজ্যে শব্দটির ট্যাবু মর্যাদা পরিবর্তনের একটি কার্যকর সূচক হিসেবে কাজ করছে।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, প্রবীণরা F-word-কে খারাপ গালি হিসেবে দেখেন, মধ্যবয়সীরা এটিকে মাঝারি মনে করেন, এবং তরুণরা এটিকে জনসমক্ষে গ্রহণযোগ্য বলে ভাবছেন। নিউজিল্যান্ডে করা একই ধরনের গবেষণায় দেখা গেছে যে ২০১৮ থেকে ২০২২-এর মধ্যে fuck শব্দের অগ্রহণযোগ্যতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
যদিও কিছু প্রকাশনা এখনও যেকোনো পরিস্থিতিতে fuck মুদ্রণে অস্বীকৃতি জানায়, বেশিরভাগেরই এতে আপত্তি নেই। সাহিত্যিক ম্যাগাজিনগুলো অনেক আগেই শব্দটি ছাপানো শুরু করেছিল, আর ২০০০-এর দশকের গোড়ায় Newsweek এবং Time-ও তা করতে শুরু করে। নিউ ইয়র্ক টাইমসে Starr Report প্রকাশ এবং ওয়াশিংটন পোস্টে ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির বিখ্যাত মন্তব্যও এর মুদ্রণকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।
এমনকি বাণিজ্যিক টেলিভিশনও, যদিও এখনও ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশনের (FCC) নিয়মাবলীর অধীনে, এই শব্দ ব্যবহারে আরও উদার হচ্ছে।
উপরের অংশটি দ্য এফ-ওয়ার্ড (চতুর্থ সংস্করণ) থেকে অনুমতিক্রমে গৃহীত, যা সম্পাদনা করেছেন জেসি শেইডলোভার। © ২০২৪, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস।